নিজস্ব সংবাদদাতা, মহিষাদল: আর মাত্র পাঁচ মাস। তারপরে আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না তৃণমূলের। প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে পুরনো দল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির নয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- যাহা এনামুল-তাহাই তৃণমূল, বললেন বাবুল
শনিবারের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “২০০১সালে তৃণমূলের খুঁটা পোতার লোক পাওয়া যেত না। আজ আমি আর বাবুলজি আসছি বলে এত পতাকা টাঙিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস একশো দিনের কাজের মারা টাকায়। পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। ১৫ই মে এর পরে এই লোকগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে হবে। ১৫-ই মে পরে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না।”
এদিন শুভেন্দু তিনি তার বিজেপিতে যোগদানের কারণ হিসেবে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমি গত কয়েকটি সভায় বলেছি তৃণমূল পার্টিটা একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে এটা আর রাজনৈতিক দল নেই। আমাদেরকে কর্মচারী করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার কর্মচারী হয়ে থাকতে এই মেদিনীপুরের মানুষরা জানে না।”
আরও পড়ুন- এবার বিজেপির হয়ে মাঠে নামবেন শোভন-বৈশাখী
শুভেন্দু প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন, “তোলাবাজ ভাইপো কয়েকদিন আগে বলেছিল এক বাপের ব্যাটা হলে আঞ্চলিক দল করলোনা কেন। বিজেপিতে কেন? তার কারণ হচ্ছে আমি আঞ্চলিক দল করলে ছোটখাটো একটা পার্টি করতে পারতাম। কিন্তু সেই পার্টিটাতে আমার পর ভাইপো নেতা হতো। সেই জন্য আঞ্চলিক দল বানাইনি। পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে গিয়েছি।”
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “ভোট এলেই বলে শংকরপুরে বন্দর হবে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। এর যা শিল্পনীতি কোথাও একটাও শিল্প হবে না। চপ ভাজা শিল্পও হবে না। এই অত্যাচার চলবে না একটু অপেক্ষা করুন আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হতে দিন।”
আরও পড়ুন- মীরজাফর তো মুসলমান বলে জানতাম, তবে ববি ভাল ছেলে: শিশির
অভিষেককে নাম না করে শুভেন্দু বলেন, “তোলাবাজ ভাইপো বলেছিলাম তাই ভীষণ কাজে লেগে গেছে। এই তো আস্তে আস্তে করে এগোচ্ছে। লালা, এনামুল, কে বিনয় মিশ্র? যার চারটা বাড়িতে ইতিমধ্যে সিবিআই ঢুকে পড়েছে। তিনি রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তার সভাপতির নাম হচ্ছে তোলাবাজ ভাইপো। তারপর মাননীয় তোলাবাজ ভাইপো আপনার তো রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খাঁন যদি জিতে যায় উনি বলেছিলেন রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি আজকে শুরু করে দিয়ে গেলাম। আপনারা অনেক এগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। আমি বলেছি ৪৯ করে দিয়ে গিয়েছেন ৫১ করতে হবে।”