কলকাতা: আরজি কর(R G Kar ) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য সহ দেশ। বিচার চেয়ে বিক্ষোভ জারি রেখেছে গোটা দেশের চিকিৎসক মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের বয়ান। যা এই বিক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। শুরু থেকেই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি করেছে হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া, চিকিৎসকরা। এবার চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পদত্যাগ করেছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে পদত্যাগ করার পরেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন কারও চাপে নয় তিনি স্বচ্ছেয় পদত্যাগ করছেন। সাংবাদিকদের সামনে সন্দীপ ঘোষ বলেন, “পড়ুয়ারা এটাই চেয়েছিলেন যে আমি পদত্যাগ করি। মানুষও এটাই চেয়েছিলেন। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক খেলা চলছে। আমার কাছে বদলি সংক্রান্ত কোনও তথ্য নোটিস নেই। আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম ।আমি নিজে থেকেই পদত্যাগ করছি। ” ঘটনার পর ভাইরাল হয় অধ্যক্ষ নাকি বলেছেন, ” ওই চিকিৎসক অত রাতে সেমিনার রুমে একা কেন ঘুমোতে গিয়েছিলেন?’ তিনি মন্তব্য করেছেন কিনা সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করার পরেই গর্জে ওঠেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ। তিনি সাফ জানান, “এটা সম্পূর্ণই ভুল। আমার মুখে, আমার নামে বসানো হয়েছে। বিগত দিনেও আমার ঘাড়ে এভাবেই কাঁঠাল ভাঙা হয়েছে। আমার নামে মিথ্যা রটেছে। ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব।” এর পরেই তিনি দাবি করেন, “আমার সঙ্গে কোনও মন্ত্রী, কোনও সিনিয়র অফিসারের কথা হয়নি। কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়নি। এটা আমার নিজের দায়িত্ব।”
আরজি কর(R G Kar ) হাসপাতালে ঘটনা নিয়ে আজ সোমবার গোটা দেশজুড়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই কর্মবিরতির দাক দেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি শুধু ছাত্রছাত্রীরা নন রাজ্যের বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও করেছিলেন। তিনি এটাও বলেছেন, আরজি করের প্রিন্সিপাল অত্যন্ত প্রভাবশালী । ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক অভিজুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে জেরার মুখে দোষও স্বীকার করে দিয়েছে। তাকে দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়েছে।