মন্দারমণি: পিকনিক করতে আসা এক দল মহিলা পর্যটকের সঙ্গ পাওয়ার চেষ্টা, না-পাওয়ায় তাঁদেরকে সমুদ্রের জলে চুবিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে স্থানীয় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ঘটনার জেরে পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণিতে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল- এগরা থানার তাজপুর এলাকার পীযূষ রানা, বড়নলগেড়িয়া বাসিন্দা সঞ্জয় কামিলা ও সরিদা গ্রামের মদন সাহু। আজ বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে দেন৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
বড়দিন এবং বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই সৈকত নগরী উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাদা পোশাকে পুলিশি নজরদারিও রয়েছে সমুদ্র সৈকতে৷ পাশাপাশি চুরি ছিনতাই রুখতে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবু শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনা ঘটায় সৈকত নগরী জুড়ে ছড়িয়েছে নয়া চাঞ্চল্য৷
জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতা থেকে একদল মহিলা পর্যটক মন্দারমণি সৈকতে বেড়াতে আসেন। সূত্রের খবর, ওই মহিলা দল সমুদ্র সৈকতে পিকনিক করার সময় পাশের একটি স্পটেই এগরা থেকে যাওয়া বেশ কয়েকজন যুবক পিকনিক করছিল। অভিযোগ, ওই মহিলা পর্যটক দল সমুদ্রে স্নান করার সময় তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কটুক্তি করতে থাকে তিন পর্যটক যুবক৷ মহিলারা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাঁদেরকে সমুদ্রের জলে চুবিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় কলকাতার মহিলা পর্যটকদের মধ্যে কয়েকজন জখম হন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে৷ মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি বলেন, “মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷”
আরও পড়ুন: Tiger: ফের মিলল বাঘের দেখা, আতঙ্কে তটস্থ কুলতলির বাসিন্দারা