কলকাতা: আর জি করের(RGKar) নৃশংস ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। কলকাতার নামী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অন ডিউটি মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। উঠেছে নিন্দার ঝড়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে রিপোর্টে যা এসেছে তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতনই। সেই ঘটনার পেরিয়েছে ২৪ ঘন্টা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সঞ্জয় রায় নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি খুনের কথা স্বীকার করেছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতার নানি এই সরকারি হাসপাতালে এইরকম ভয়ানক ঘটনার পরেই সেই দিন রাতেই কলকাতা পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেছে। সেই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করেছে। মধ্যরাতে নৃশংস ঘটনার সময় হাসপাতাল চত্বরে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে কে বা কারা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর সঞ্জয় নামে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি আরজিকর হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী। তবে তিনি সরকারিভাবে নিযুক্ত নন বা পুলিশের কেউ নন। বেসরকারি সংস্থা বা থার্ড পার্টির মাধ্যমে হয়েছিল তার নিয়োগ। ঘটনার দিন রাতে তার ডিউটি ছিল। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার আশেপাশে যারা ছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ এর সময় এই নিরাপত্তা রক্ষির কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি বোটের হেডফোন। ফরেনসিক করে দেখা হচ্ছে হেডফোনটি কার। এই হেডফোনের সূত্র ধরেই সঞ্জয় রায় নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানিয়েছে পুলিশ সূত্র
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতার আরজিকর(R.G Kar) হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পিজিটি ওই মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। প্রথমে খুন নাকি ধর্ষণ করে খুন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ও ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যায় এটা শুধুমাত্র খুন নয়। নির্যাতন করে ও ধর্ষণ করেই তাকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা নয়, খুনই করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসককে, এমনটাই জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। শরীরে একাধিক জায়গায় মিলেছে ক্ষতের চিহ্ন। মৃতার গোপনাঙ্গ থেকেও হয়েছে রক্তপাত, ভেঙে গিয়েছে গলার কলার বোন, এই তথ্য জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।