
কলকাতা ও নয়াদিল্লি: সব কিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরেই পাহাড় সফরে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷
দলীয় সূত্রের খবর: আলিপুর দুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি খতিয়ে দেখতেই পাহাড় সফরে আসছেন শাহ৷ প্রসঙ্গত, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচদিনের পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বভাবতই, বাংলা তথা দেশের যুযুধান দুই শিবিরের দুই হেভিওয়েটের আগমনকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরে পাহাড়ের রাজনৈতিক জমি যে ফের তপ্ত হয়ে উঠতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: এখানে বালিও কথা বলে, নির্দেশও দেয়..
সংবাদ সংস্থার তরফে অমিত শাহের উত্তরবঙ্গ সফরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হলেও বিজেপির তরফে অবশ্য শাহের সফরের সত্যতা এখনও স্বীকার করা হয়নি৷ তবে সরাসরি নাও বলেননি৷ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমার এমন কোনও তথ্য জানা নেই৷’’ একই মন্তব্য শোনা গিয়েছে, দলের আর এক শীর্ষ রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসুর মুখে৷ যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সরাসরি হ্যাঁ যেমন বলেননি তেমন ‘আসবেন না’ একথাটাও সরাসরি বলেননি দিলীপবাবুরা৷ তার ওপর উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক শক্তিও যথেষ্ট ইর্ষণীয়৷ স্বভাবতই, শাহের সফর প্রক্রিয়া কৌশলগত ভাবে গোপন রাখা হচ্ছে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷
আরও পড়ুন: অনলাইন থেকে সাবধান, প্রতারণার জেরে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ
প্রসঙ্গত, পালা বদলের পরই উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের প্রসঙ্গে সোচ্চার হয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছিলেন আলিপুর দুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা৷ সেসময় রাজ্য পার্টিকে পাশে না পেলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁয় দিয়ে আদতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বার্লার প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ কৌশলগতভাবে বার্লার মুখেও পরে শোনা গিয়েছিল, ‘‘জন প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মানুষের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে৷ আমি আমার সেই কর্তব্যটুকুই করেছি৷ বাকিটা সরকারের শীর্ষ মহল সিদ্ধান্ত নেবেন৷’’
স্বভাবতই পাহাড়ের খাদে খাদে ঠোক্কর খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, তবে কি অচিরেই উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি পেতে চলেছে? আপাতত চড়ছে জল্পনার পারদ৷